ঢাকার অদূরে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্ম এ প্রজন্মের ডিজে শাখাওয়াত হোসেন ফাহিম তবে শোবিজে ডিজে বিজয় নামেই পরিচিত।বর্তমান সময়ে যে’কজন ডিজে আছে তার মধ্যে অনায়াসে তার নামটি অন্যতম।

২০১৪ থেকেই মিউজিক নিয়ে কাজ শুরু করেন।বর্তমান সময়ে ব্যস্ততা কি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,”বাসায় অবস্থান নিয়েছি এখন।শো তো বন্ধ রয়েছে।তবে টুকটাক কিছু গানের কাজ করছি অডিও ভিডিও, সেটা নিয়েই আছি। নতুন কিছু কাজের কথা চলছে লকডাউন শেষ হলেই হয়তো কাজে নেমে পরব” যারা নতুন ডিজে হতে চায় তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন,”সবাই তো শিক্ষিত কিন্তু ক’জন এর মধ্যে ম্যানার আছে? ম্যানারটা জানতে হবে।সবাইকে সম্মান করতে হবে।বিনয় বিষয়টা হারিয়ে গেছে।



একজন ছেলে যদি ডিজে হতে চায়,তবে তাকে ম্যানার জানতে হবে আউটলুক সুন্দর হতে হবে,স্মার্ট হতে হবে,মিউজিকাল সেন্স ভালো হতে হবে,আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা খুব প্রয়োজন”

সামনে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজে বিজয় বলেন,”আমি মিউজিক নিয়েই কাজ করব।এবং আমি তো মিক্সড করি। যেহেতু মিউজিক নিয়েই আমার কাজ আমি ডিজিংটা করি এটাই থাকবে।তবে এর পাশাপাশি বিজনেস করব।অনেক ডিজেই নিজের এ্যালবাম করেছেন আমি করিনি, আমি মনে করি কাজ করতে করতে একটা সময় সবাই জেনে যাবে যে,আমি সব কিছুই তে বিরাজমান”

ইতিমধ্যে তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের নাম তৈরি করেছেন। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে তিনি পারফরম্যান্স করেছেন ঢাকা ক্লাব, খুলনা ক্লাব, সিলেট স্টেশন ক্লাব, চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের মতো সুপরিচিত ক্লাবগুলিও। ভারত ও নেপালের মতো জায়গায়ও বাংলাদেশের বাইরে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

সঙ্গীত দিয়ে খেলা উপভোগ করুন এবং তিনি নিজের সংগীত তৈরি করতে পছন্দ করেন এবং ইডিএম (বৈদ্যুতিন নৃত্য সংগীত) এর প্রতি তাঁর প্রচন্ড আবেগ রয়েছে। তবে তিনি ট্র্যাপ, মুমবাথন, ডাবস্টেপ, ডিপ হাউস, পিএসওয়াই ট্রান্স, রেট্রোর মতো অন্যদের জেনার সংগীতও বাজান। এই ক্ষেত্রে তার বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রটিতে তার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে,ডিজেদের পেশার জায়গাটাও একসময় ঘুরে দাঁড়াবে এবং নতুন সম্ভবনার দ্বার উন্মুক্ত হব।